🧒 প্রারম্ভিক জীবন

১৮৭৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর নদীয়া জেলার কুষ্টিয়ার কয়াগ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। পিতার নাম উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং মাতার নাম শরৎশশী দেবী। শৈশব থেকেই তিনি শারীরিকভাবে শক্তিশালী ও সাহসী ছিলেন। একবার একটি বাঘকে খালি হাতে হত্যা করার পর তিনি "বাঘা যতীন" নামে পরিচিত হন। ​Roar Media Archive+1উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ+1উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ+1Barta24+1Barta24+2Banglapedia+2উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ+2

🎓 শিক্ষা ও কর্মজীবন

যতীন কৃষ্ণনগর অ্যাংলো ভার্নাকুলার হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে সাঁটলিপি ও টাইপ শেখেন। তিনি বেঙ্গল গভর্নমেন্টের স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মধ্যে আত্মমর্যাদা ও জাতীয়তাবোধ অত্যন্ত দৃঢ় ছিল। ​উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ+1Banglapedia+1Banglapedia+1উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ+1

🏴 বিপ্লবী কর্মকাণ্ড

অরবিন্দ ঘোষের সংস্পর্শে এসে যতীন শরীরচর্চা, বন্দুক চালানো ও বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি যুগান্তর দলের প্রধান নেতা হিসেবে ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি জার্মান যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অস্ত্র ও রসদের প্রতিশ্রুতি অর্জন করেছিলেন। ​Banglapedia+1Barta24+1Roar Media Archive+3উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ+3Barta24+3

⚔️ বুড়ি বালামের যুদ্ধ ও আত্মবলিদান

১৯১৫ সালে উড়িষ্যার বালেশ্বরে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি গুরুতর আহত হন এবং বালাসোর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই যুদ্ধটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। ​উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

🏅 উত্তরাধিকার

বাঘা যতীনের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ড পরবর্তী প্রজন্মের বিপ্লবীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।​

❓ প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

প্রশ্ন: বাঘা যতীনের প্রকৃত নাম কী ছিল?
উত্তর: তাঁর প্রকৃত নাম ছিল যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।

প্রশ্ন: "বাঘা" উপাধি তিনি কীভাবে পেলেন?
উত্তর: একটি বাঘকে খালি হাতে হত্যা করার পর তিনি "বাঘা যতীন" নামে পরিচিত হন।

প্রশ্ন: তিনি কোন বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: তিনি যুগান্তর দলের প্রধান নেতা ছিলেন।

প্রশ্ন: বাঘা যতীন কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: তিনি উড়িষ্যার বালেশ্বরে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে আহত হয়ে বালাসোর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

বাঘা যতীনের জীবন ও সংগ্রাম আমাদের শেখায় যে, সাহস, আত্মত্যাগ ও দৃঢ়সংকল্পের মাধ্যমে একটি জাতিকে মুক্তির পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তাঁর অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।​