🩺 বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনী – একজন চিকিৎসক, দেশনেতা ও বাংলার রত্ন 🌟

বিধানচন্দ্র রায় – বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে এক বিরল প্রতিভা, যিনি ছিলেন একাধারে একজন সফল চিকিৎসক 🩺, প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ 🏛️ এবং একজন আদর্শ সমাজসেবক ❤️। তাঁকে শ্রদ্ধাভরে “বাংলার নির্মাতা” বলা হয়।

👶 জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম হয় ১৮৮২ সালের ১ জুলাই, বিহারের পাটনায়। তাঁর পিতার নাম পৃথ্বীরাজ রায় এবং মাতার নাম অচছয়া রায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ 📘

🎓 শিক্ষা ও চিকিৎসা জীবন

তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক হন এবং পরে ভর্তি হন কলকাতা মেডিকেল কলেজে। এরপর উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যান 🇬🇧

সেখান থেকে MRCP ও FRCS ডিগ্রি অর্জন করে ফিরে আসেন ভারতে, এবং কলকাতায় চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসক হিসেবে তিনি খুব দ্রুতই পরিচিতি পান।

🏛️ রাজনীতিতে প্রবেশ ও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া

গাঁধীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

✅ তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে:

• দুর্গাপুর, কাঞ্চনজঙ্ঘা, আশোকনগর, হাবরা ইত্যাদি পরিকল্পিত শহর 🏙️
• সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতাল 🏥
• কলকাতার উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান

🌟 সম্মান ও স্বীকৃতি

• ভারতরত্ন (১৯৬১ সালে) 🇮🇳
• আজও তাঁর জন্মদিন (১ জুলাই) ভারতে "ডক্টরস ডে" হিসেবে পালিত হয় 📅

🕊️ মৃত্যু

ডঃ বিধানচন্দ্র রায় প্রয়াত হন ১৯৬২ সালের ১ জুলাই, নিজের জন্মদিনেই। এই দিনটি তাঁর জীবনের সূচনা ও সমাপ্তির চিহ্ন হিসেবে স্মরণীয়।

📌 FAQ – বিধানচন্দ্র রায় সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নাবলী

❓ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম কবে ও কোথায়?

উত্তর: ১ জুলাই, ১৮৮২ সালে, বিহারের পাটনায়।

❓ তিনি কোন পেশার মানুষ ছিলেন?

উত্তর: তিনি একজন চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ ছিলেন।

❓ তিনি কবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন?

উত্তর: তিনি ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

❓ তাঁর জন্মদিনকে কী হিসেবে পালন করা হয়?

উত্তর: তাঁর জন্মদিন, ১ জুলাই, "ডক্টরস ডে" হিসেবে পালিত হয়।

❓ তিনি কোন সম্মান পেয়েছেন?

উত্তর: ১৯৬১ সালে ভারত সরকার তাঁকে ভারতরত্ন প্রদান করে।

📝 উপসংহার

ডঃ বিধানচন্দ্র রায় ছিলেন একজন প্রকৃত “দেশের সেবক”। তাঁর জীবন আমাদের শেখায় কিভাবে একজন মানুষ একসাথে চিকিৎসা, রাজনীতি এবং সমাজসেবায় অসামান্য অবদান রাখতে পারেন। তাঁর স্মৃতি আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় 💐