ঋষি সুনাক এর জীবনী 🧑💼📈 | যুক্তরাজ্যের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী
ঋষি সুনাক হলেন ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী। একজন মেধাবী অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়া—তার যাত্রাপথ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। 💡
👶 শৈশব ও পরিবার
- জন্ম: ১২ মে, ১৯৮০
- জন্মস্থান: সাউদ্যাম্পটন, ইংল্যান্ড 🇬🇧
- পরিবার:
- বাবা: চিকিৎসক 👨⚕️
- মা: ফার্মাসিস্ট 💊
- পূর্বপুরুষ: ভারতীয় পাঞ্জাব থেকে পূর্ব আফ্রিকার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে অভিবাসী
- ধর্ম: হিন্দু 🕉️
ছোটবেলা থেকেই ঋষি ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী, মেধাবী ও নেতৃত্বগুণে ভরপুর।
🎓 শিক্ষাগত যোগ্যতা 📘
- উইনচেস্টার কলেজ – ইংল্যান্ডের অন্যতম নামকরা স্কুল
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় – PPE (Philosophy, Politics and Economics)
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র) – MBA 🎓
এখানে পড়াকালীন তিনি অক্ষতা মূর্তিকে (নারায়ণ মূর্তির কন্যা) বিয়ে করেন 💍
💼 পেশাগত জীবন ও রাজনীতির দিকে যাত্রা 🏛️
- গোল্ডম্যান স্যাচস-এ বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে কাজ শুরু
- একাধিক Hedge Fund-এ কাজের অভিজ্ঞতা
- ২০১৫ সালে কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত
- ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী হন (চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার)
- ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর তিনি হন যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী 🎉
🔑 উল্লেখযোগ্য অবদান
- কোভিড-১৯ চলাকালীন ব্রিটিশ কর্মীদের জন্য চালু করেন “Furlough Scheme” 💼
- কঠিন অর্থনৈতিক সময়েও বাজেট নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করেন
- বহুত্ববাদী সমাজে প্রথম হিন্দু ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেন 🕉️🌍
🧘 ব্যক্তিগত জীবন
- স্ত্রী: অক্ষতা মূর্তি 👩💼
- শ্বশুর: নারায়ণ মূর্তি (Infosys প্রতিষ্ঠাতা) 💻
- সন্তান: ২ কন্যা 👧
- আগ্রহ: ফিটনেস, স্টার ওয়ার্স, ক্রিকেট 🏏, প্রযুক্তি 💡
❓FAQs (প্রশ্নোত্তর)
১. ঋষি সুনাক কবে প্রধানমন্ত্রী হন?
👉 ২৫ অক্টোবর, ২০২২ সালে।
২. তিনি কোন ধর্ম অনুসরণ করেন?
👉 তিনি একজন হিন্দু 🕉️ এবং প্রকাশ্যে ধর্ম পালন করেন।
৩. তার স্ত্রীর নাম কী?
👉 অক্ষতা মূর্তি – Infosys প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির কন্যা।
৪. তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন?
👉 অক্সফোর্ড (PPE) এবং স্ট্যানফোর্ড (MBA)।
৫. কোন রাজনৈতিক দলে আছেন তিনি?
👉 কনজারভেটিভ পার্টি (Conservative Party) 🏛️
✅ উপসংহার 🎯
ঋষি সুনাকের জীবন প্রমাণ করে—যোগ্যতা, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে কোনো সীমারেখাই মানুষকে থামাতে পারে না। তিনি শুধু একজন সফল রাজনীতিবিদ নন, বরং এক নতুন যুগের প্রতিনিধি—যেখানে বৈচিত্র্য, সংস্কৃতি এবং পারিবারিক মূল্যবোধ একই সঙ্গে জ্বলে উঠে।
তার যাত্রা শুধু ব্রিটেন নয়, পুরো বিশ্বে দক্ষিণ এশীয়দের জন্য একটি গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে